হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার। কিন্তু সঠিক গাইডলাইনের অভাবে তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পুরণ করতে পারেনা। তাই আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই টিপসগুলো ফলো করলে অবশ্যই তুমি অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স পাওয়ার উপায়
আমরা আজকে এমন ৫টি টিপস নিয়ে কথা বলব যা ফলো করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়াটা অনেকাংশেই সহজ হয়ে যাবে। পড়াশোনা তোমাকেই করতে হবে। আমি শুধুমাত্র পথ দেখিয়ে দেবো।
১. প্রশ্নব্যাংক সমাধান :
বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স পাওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত প্রশ্নব্যাংক সমাধান করা। তুমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দেবে, সেই ইউনিটের বিগত নূন্যতম ৭ বছরের প্রশ্নব্যাংক সমাধান করা জরুরি। প্রশ্নগুলো পড়ার সময় অবশ্যই ব্যাখ্যা সহকারে পড়তে হবে। প্রশ্ন সমাধানের ফলে তুমি যেমন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন প্যাটার্ন সম্পর্কে জানতে পারবে, পাশাপাশি ব্যাখ্যা সহ পড়লে নূন্যতম ২০ শতাংশ প্রশ্ন কমন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া তুমি যে গ্রুপ থেকে পরীক্ষা দেবে সেই গ্রুপের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন সমাধান করতে পার। এতে তোমার প্রস্তুতি আরো মজবুত হবে। অর্থাৎ তুমি যদি মানবিক ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দাও, তবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ইউনিটের প্রশ্ন সমাধান করতে পারো। অনেক কাজে দেবে।
২. টপিক নির্ধারণ :
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে প্রশ্ন করে থাকে। তাই দেখাযায় বিগত সালে যে টপিক থেকে প্রশ্ন এসেছে, সেই টপিকগুলো থেকেই ৮০-৯০% প্রশ্ন আসে। প্রশ্নব্যাংক সমাধান করার সময় এই টপিক গুলো খাতায় লিখে ফেলো। এবং পড়ার সময় টপিকগুলোতে বেশি জোড় দিয়ে পড়। ইনশাআল্লাহ অনেক প্রশ্ন কমন পাবে।
৩. পড়ার সার্কিট তৈরি
কত সময় পড়ছ, সেটার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কতটুকু পড়ছ। দেখাগেলো আমারা সারাদিন পড়লাম, কিন্তু একটা অধ্যায়ও শেষ করতে পারলাম না, তাহলে সেই পড়ার কোন মূল্য নেই। তাই সাপ্তাহিক একটি রুটিন তৈরি কর। কোনদিন কোন পড়াগুলো শেষ করবা সেটির। তবে শুক্রবার বাদে। ৬ দিন কি কি পড়বে তা নির্ধারণ করা হলে সে অনুযায়ী পড়া শুরু কর। দিনের পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনভাবেই ঘুমানো যাবেনা। শেষ করেই ঘুমাবে। এভাবে ৬ দিনের পড়া শেষে শুক্রবার সেগুলো পুনরায় রিভিশন দাও। এবং সেগুলোর উপর পরীক্ষা দাও। অনেক কাজে দেবে।
৪. একগাদা এমসিকিউ সলভ
যারা পূর্বে ভালো ফলাফল করেছে, তাদের কাছে শুনলে জানতে পারবে, তারা প্রচুর পরিমাণ এমসিকিউ সলভ করেছে। বিভিন্ন সহায়ক বইয়ের অধ্যায়ের শেষে যে এমসিকিউ গুলো রয়েছে তা অবশ্যই সমাধান করতে হবে। শুধু তাই নয়, যে বইয়ে যেখানেই এমসিকিউ পাবে, পড়ে ফেলবে।
৫. প্রচুর পরীক্ষা দেয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে এবং নিজেকে যাচাই করতে পরীক্ষা দেয়ার কোন বিকল্প নেই। একজন শিক্ষার্থী যত বেশি পরীক্ষা দেবে সে ততই নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পরীক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মডেল টেস্ট এর বই কিংবা বিগত সালের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে পারো। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নে পরীক্ষা দিলে সেটি আরো বেশি কার্যকর হবে তোমাদের জন্য। তবে অবশ্যই সময় মেইনটেইন করেই পরীক্ষাগুলো দিতে হবে।
আজকের এই কথাগুলো যদি তুমি ভালোকরে অনুসরণ করতে পারো, তাহলে ভর্তি পরীক্ষার এক ধাপ এগিয়ে থাকবে, এটা নিশ্চিত।
লেখা : সোহানুর শুভ