ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে ঢাবি সম্পর্কে সকল খুঁটিনাটি জানা প্রয়োজন। এরই উদ্দেশ্যে আজকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিট পাস নম্বর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সার্কুলার ২০২২ দেখতে এখানে ক্লিক কর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিট পাস মার্কস
ঢাবি ক ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার MCQ অংশের পাস নম্বর ২৪। উল্লেখ্য, MCQ পরীক্ষায় ২৪ নম্বরে পেলে কেবল লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়নের জন্য বিবেচিত হবে। তবে MCQ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে ‘ক’ ইউনিট এর মোট আসনের কমপক্ষে ৫ গুন লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত অংশের পরীক্ষায় পাস নম্বর ১২। তবে ১০০ নম্বরের মধ্যে MCQ এবং লিখিত পরীক্ষার মোট পাস নম্বর ৪০। যারা ৪০ এর কম নম্বর পাবে তাদের কে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না ।
ঢাবি ক ইউনিট পাস নম্বর
পদ্ধতি | পাস নম্বর |
এমসিকিউ | ২৪ |
লিখিত | ১২ |
MCQ এবং লিখিত মোট পাস নম্বর | ৪০ |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিট মানবন্টন
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন ক ইউনিট সম্পর্কে কথা বলতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে, ঢাবি ক ইউনিটে কারা পরীক্ষা দিতে পারে। মূলত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঢাবি ক ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারে। সুতরাং মানবন্টন হবে বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্ট অনুসারে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টনে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে । পরীক্ষা MCQ এবং লিখিত উভয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ১০০ তন্মাধ্যে ৬০ নম্বরের MCQ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকবে। MCQ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিটের হবে।
ঢাবি ক ইউনিট মানবন্টন (এমসিকিউ) :
MCQ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে। একজন প্রার্থী যে ৪টি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দিলে তার উপর নির্ভর করবে সে কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হতে পারবে।
- পদার্থ বিজ্ঞান (আবশ্যিক) = ১৫ নম্বর
- রসায়ন (আবশ্যিক) = ১৫ নম্বর
- জীববিজ্ঞান = ১৫ নম্বর
- গনিত = ১৫ নম্বর
- বাংলা = ১৫ নম্বর
- ইংরেজি = ১৫ নম্বর
ঢাবি ক ইউনিট মানবন্টন (লিখিত) :
- পদার্থ বিজ্ঞান (আবশ্যিক) = ১০ নম্বর
- রসায়ন (আবশ্যিক) = ১০ নম্বর
- জীববিজ্ঞান = ১০ নম্বর
- গনিত = ১০ নম্বর
- বাংলা = ১০ নম্বর
- ইংরেজি = ১০ নম্বর
(আবশ্যিক সাবজেক্ট এর সাথে অন্য যেকোন ২ টি সাবজেক্ট সহ মোট ৪ টি সাবজেক্ট এর উপর পরীক্ষা দিতে হবে)
- যে সকল প্রার্থী উচ্চ মাধ্যমিক অথবা সমমানের পর্যায়ে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করেছে তারা এ সকল বিষয়ে পরীক্ষা দিবে। তবে কোনাে পরীক্ষার্থী ইচ্ছা করলে শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪র্থ বিষয়ের পরিবর্তে বাংলা অথবা ইংরেজি যেকোনাে একটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এখানে উল্লেখ্য যে, পদার্থ
বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে পরীক্ষা দেয়া আবশ্যিক। - A-Level পর্যায়ে অধ্যয়নকৃত পরীক্ষার্থী পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নসহ অন্য (গণিত/জীববিজ্ঞান/বাংলা/ইংরেজি বিষয়ের
মধ্যে) যেকোনাে দুইটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে মােট চারটি বিষয় পূর্ণ করবে।