ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন সম্পর্কে একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন দেখে একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর প্রস্তুতি শুরু করা উচিৎ। তাই আজকের আমরা ঢাবি মানবন্টন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিট মানবন্টন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন ক ইউনিট সম্পর্কে কথা বলতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে, ঢাবি ক ইউনিটে কারা পরীক্ষা দিতে পারে। মূলত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঢাবি ক ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারে। সুতরাং মানবন্টন হবে বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্ট অনুসারে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টনে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে । পরীক্ষা MCQ এবং লিখিত উভয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ১০০ তন্মাধ্যে ৬০ নম্বরের MCQ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকবে। MCQ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিটের হবে।
ঢাবি ক ইউনিট মানবন্টন (এমসিকিউ) :
MCQ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে। একজন প্রার্থী যে ৪টি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দিলে তার উপর নির্ভর করবে সে কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হতে পারবে।
- পদার্থ বিজ্ঞান (আবশ্যিক) = ১৫ নম্বর
- রসায়ন (আবশ্যিক) = ১৫ নম্বর
- জীববিজ্ঞান = ১৫ নম্বর
- গনিত = ১৫ নম্বর
- বাংলা = ১৫ নম্বর
- ইংরেজি = ১৫ নম্বর
ঢাবি ক ইউনিট মানবন্টন (লিখিত) :
- পদার্থ বিজ্ঞান (আবশ্যিক) = ১০ নম্বর
- রসায়ন (আবশ্যিক) = ১০ নম্বর
- জীববিজ্ঞান = ১০ নম্বর
- গনিত = ১০ নম্বর
- বাংলা = ১০ নম্বর
- ইংরেজি = ১০ নম্বর
(আবশ্যিক সাবজেক্ট এর সাথে অন্য যেকোন ২ টি সাবজেক্ট সহ মোট ৪ টি সাবজেক্ট এর উপর পরীক্ষা দিতে হবে)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট মানবন্টন

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন খ ইউনিট সম্পর্কে কথা বলতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে, ঢাবি খ ইউনিটে কারা পরীক্ষা দিতে পারে। মূলত মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঢাবি খ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারে। সুতরাং মানবন্টন হবে মানবিক রিলেটেড সাবজেক্ট অনুসারে।
এছাড়া ২০২১ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টনে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে । এমসিকিউ পরীক্ষার নম্বর ৭৫ থেকে ৬০ নম্বর করা হয়েছে। অন্যদিকে লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বর থাকবে ৪০। এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে ।
ঢাবি খ ইউনিট মানবন্টন (এমসিকিউ) :
- বাংলা = ১৫ নম্বর
- ইংরেজি = ১৫ নম্বর
- সাধারণ জ্ঞান = ৩০ নম্বর
ঢাবি খ ইউনিট মানবন্টন (লিখিত) :
- বাংলা = ২০ নম্বর
- ইংরেজি = ২০ নম্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ ইউনিট মানবন্টন

খ ইউনিটের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন গ ইউনিট সম্পর্কে কথা বলতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে, ঢাবি গ ইউনিটে কারা পরীক্ষা দিতে পারে। মূলত বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঢাবি গ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারে। সুতরাং মানবন্টন হবে বাণিজ্য বিভাগের সাবজেক্ট অনুসারে।
মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরা করা হবে। MCQ ও লিখিত পরীক্ষা মিলে ১০০ নম্বর নির্ধারিত থাকবে এবং অবশিষ্ট ২০ নম্বর মাধ্যমিক পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ ২ দিয়ে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ ২ দিয়ে গুন করে এই দুয়ের যোগ ফল ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে যোগ করে মোট ১২০ নম্বরের উপর শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরী করা হবে।
ঢাবি গ ইউনিট মানবন্টন (এমসিকিউ) :
- বাংলা = ১২ নম্বর
- ইংরেজি = ১২ নম্বর
- হিসাব বিজ্ঞান = ১২ নম্বর
- ব্যাবসায় নীতি ও প্রয়োগ = ১২ নম্বর
- মার্কেটিং / ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং = ১২ নম্বর
ঢাবি গ ইউনিট মানবন্টন (লিখিত) :
- অনুবাদ বাংলা থেকে ইংরেজি = ৫ নম্বর
- অনুবাদ ইংরেজি থেকে বাংলা = ৫ নম্বর
- বিষয় ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রকাশ (ইংরেজি) = ৫ নম্বর
- Precis writing = ৫ নম্বর
- সংক্ষিপ্ত রচনা (বাংলা) = ৫ নম্বর
- ৫ টি আবশ্যিক বিষয় থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর = ১৫ নম্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ ইউনিট মানবন্টন

পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টনে পরিবর্তন আনা হয়েছে ।
- ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বরঃ ১০০।
- সময় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট
- MCQ -৬০ নম্বর। যেখানে প্রতিটা প্রশ্নের মান ১ এবং প্রতিটা ভুল উত্তরে জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে। সময় ৪৫ মিনিট।
- লিখিত পরীক্ষা ৪০ নম্বরের হবে এবং সময় থাকবে ৪৫ মিনিট।
ঢাবি ঘ ইউনিট মানবন্টন (এমসিকিউ) :
- বাংলা = ১৫ নম্বর
- ইংরেজি = ১৫ নম্বর
- সাধারণ জ্ঞান = ৩০ নম্বর
ঢাবি ঘ ইউনিট মানবন্টন (লিখিত) :
- বাংলা = ১৫ নম্বর
- ইংরেজি = ১৫ নম্বর
- সাধারণ জ্ঞান = ১০ নম্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ ইউনিট মানবন্টন
ঢাবি চ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২টি অংশে অনুষ্ঠিত হবে – সাধারণ জ্ঞান ৪০ + অঙ্কন (ফিগার ড্রয়িং) ৬০ = ১০০ নম্বর।
প্রাথমাংশ – সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষাঃ
MCQ পদ্ধতির পরীক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজীসহ চারুকলার বিভিন্ন বিভাগ সম্পর্কিত বা বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমসাময়িক ঘটনাবলি প্রভৃতি বিষয় প্রশ্ন থাকবে।
‘সাধারণ জ্ঞান’ – পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নাম্বার কর্তন করা হবে।
পরীক্ষা যে হবে সকল বিষয় এইগুলো কি শুধু একাদশ -দাদশের বই থেকে হবে। দয়া করে জানাবেন
আচ্ছা যারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পাস করেছে তারা কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স দিতে পারবে যেকোনো ইউনিট থেকে
ঠিকই বলা হয়েছে। তুমি বুঝতে একটু ভুল করেছো। পদার্থ ও রসায়ন অবশ্যই দাগাতে হবে। জীববিজ্ঞান ও গনিত এর মাঝে যেটা তোমার চতুর্থ বিষয় সেটার পরিবর্তে বাংলা বা ইংরেজি যেকোন একটি দাগাবে।
আগের মানবণ্টনে তো চতুর্থ বিষয়ের পরিবর্তে বাংলা/ ইংরেজি পরীক্ষা দেয়া যেত, কিন্তু এখানে দেখছি যেকোনো টার পরিবর্তে দেওয়া যাবে। এই তথ্যটা নিয়ে শিওরিটি কেমন!!