ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসিত সরকারি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। সূচনালগ্নে বিভিন্ন প্রথিতযশা বৃত্তিধারী ও বিজ্ঞানীদের দ্বারা কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হবার প্রেক্ষাপটে এটি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে স্বীকৃতি পায়।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৫৬টি গবেষণা ব্যুরো ও কেন্দ্র, ২০টি আবাসিক হল ও ৩টি ছাত্রাবাস, এবং ৭টি স্নাতক পর্যায়ের অধিভুক্ত সরকারি কলেজসহ মোট ১০৫টি অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে। অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভিন্ন অবকাঠামো ও কর্মকাণ্ড রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য কৃতি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন রাষ্ট্রপতি, ৭ জন প্রধানমন্ত্রী এবং একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এখানে পড়াশোনা করেছেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীন করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশেষ অবদান ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি পদক লাভ করেছেন।এছাড়া এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এশিয়া উইকের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা করে নেয়।
ইউনিট | পরীক্ষার তারিখ |
ক ইউনিট | ১০ জুন |
খ ইউনিট | ৪ জুন |
গ ইউনিট | ৩ জুন |
ঘ ইউনিট | ১১ জুন |
চ ইউনিট | ১৭ জুন |
( ঢাবি ক ইউনিট আবেদন যোগ্যতা )
( ঢাবি খ ইউনিট আবেদন যোগ্যতা )
( ঢাবি গ ইউনিট আবেদন যোগ্যতা )
( ঢাবি ঘ ইউনিট আবেদন যোগ্যতা )
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা MCQ এবং লিখিত উভয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা মোট নম্বর হবে ১০০ , তন্মাধ্যে ৬০ নম্বরের MCQ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকবে। MCQ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিটের হবে।
MCQ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে। একজন প্রার্থী যে ৪টি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দিলে তার উপর নির্ভর করবে সে কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হতে পারবে। পদার্থ ও রসায়ন আবশ্যিক সাবজেক্ট, অর্থাৎ অবশ্যই উত্তর করতে হবে। এর সাথে অন্য যেকোন ২ টি সাবজেক্ট সহ মোট ৪ টি সাবজেক্ট এর উপর পরীক্ষা দিতে হবে।
এমসিকিউ | লিখিত |
পদার্থ = ১৫ নম্বর রসায়ন = ১৫ নম্বর জীববিজ্ঞান = ১৫ নম্বর গনিত = ১৫ নম্বর বাংলা = ১৫ নম্বর ইংরেজি = ১৫ নম্বর | পদার্থ = ১০ নম্বর রসায়ন = ১০ নম্বর জীববিজ্ঞান = ১০ নম্বর গনিত = ১০ নম্বর বাংলা = ১০ নম্বর ইংরেজি = ১০ নম্বর |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা মোট ১০০ নম্বরের উপর। এমসিকিউ ৬০ নম্বর ও লিখিত পরীক্ষা ৪০ নম্বর। এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে ।
এমসিকিউ | লিখিত |
বাংলা = ১৫ নম্বর ইংরেজি = ১৫ নম্বর সাধারণ জ্ঞান = ৩০ নম্বর | বাংলা = ২০ নম্বর ইংরেজি = ২০ নম্বর |
মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরা করা হবে। MCQ ও লিখিত পরীক্ষা মিলে ১০০ নম্বর নির্ধারিত থাকবে এবং অবশিষ্ট ২০ নম্বর মাধ্যমিক পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ ২ দিয়ে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ ২ দিয়ে গুন করে এই দুয়ের যোগ ফল ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে যোগ করে মোট ১২০ নম্বরের উপর শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরী করা হবে।
এমসিকিউ | লিখিত |
বাংলা = ১২ নম্বর ইংরেজি = ১২ নম্বর হিসাব বিজ্ঞান = ১২ নম্বর ব্যাবসায় নীতি ও প্রয়োগ = ১২ নম্বর মার্কেটিং / ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং = ১২ নম্বর | অনুবাদ বাংলা থেকে ইংরেজি = ৫ নম্বর অনুবাদ ইংরেজি থেকে বাংলা = ৫ নম্বর বিষয় ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রকাশ (ইংরেজি) = ৫ নম্বর Precis writing = ৫ নম্বর সংক্ষিপ্ত রচনা (বাংলা) = ৫ নম্বর ৫ টি আবশ্যিক বিষয় থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর = ১৫ নম্বর |
এমসিকিউ | লিখিত |
বাংলা = ১৫ নম্বর ইংরেজি = ১৫ নম্বর সাধারণ জ্ঞান = ৩০ নম্বর | বাংলা = ১৫ নম্বর ইংরেজি = ১৫ নম্বর সাধারণ জ্ঞান (বিশ্লেষণধর্মী) = ১০ নম্বর |
ঢাবি চ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২টি অংশে অনুষ্ঠিত হবে – সাধারণ জ্ঞান ৪০ + অঙ্কন (ফিগার ড্রয়িং) ৬০ = ১০০ নম্বর।
প্রাথমাংশ – সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষাঃ
MCQ পদ্ধতির পরীক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজীসহ চারুকলার বিভিন্ন বিভাগ সম্পর্কিত বা বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমসাময়িক ঘটনাবলি প্রভৃতি বিষয় প্রশ্ন থাকবে।
‘সাধারণ জ্ঞান’ – পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নাম্বার কর্তন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিট আসন সংখ্যা
২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটে আসন সংখ্যা ছিল মোট ১৮১৫ টি। ক ইউনিটে ৫ টি অনুষদ ও ৫ টি ইন্সটিটিউটের অধীনে মোট ৩২ টি বিষয় রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ইউনিটের অনুষদগুলো হচ্ছে–
বিজ্ঞান অনুষদ
জীববিজ্ঞান অনুষদ
ফার্মেসি অনুষদ
আর্থ এন্ড এনভায়রমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ
ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ইউনিটের ইন্সটিটিউটগুলো হচ্ছে–
তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট
পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইন্সটিটিউট
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট
শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিট বিষয় ভিত্তিক আসন সংখ্যা
পদার্থবিজ্ঞান | ১৪০ |
গনিত | ১৩০ |
পরিসংখ্যান | ৮৮ |
রসায়ন | ৯০ |
ফলিত গনিত | ৭০ |
মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ | ১২০ |
প্রাণিবিজ্ঞান | ১০০ |
মনোবিজ্ঞান | ৫০ |
মৎস বিজ্ঞান | ৪০ |
উদ্ভিদবিজ্ঞান | ৭৫ |
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান | ৬০ |
অনুজীব বিজ্ঞান | ৪০ |
জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি | ১৭ |
দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা | ৩০ |
ভূতত্ত্ব | ৫০ |
ভূগোল ও পরিবেশ | ৫০ |
সমুদ্রবিজ্ঞান | ২৫ |
আবহাওয়াবিজ্ঞান | ২০ |
ফার্মেসি | ৬৫ |
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং | ৫০ |
ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং | ৫০ |
লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং | ৫০ |
পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান | ৩৫ |
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
ফলিত পরিসংখ্যান | ৫০ |
জীববিজ্ঞান বিষয়ক আই.ই.আই | ২৫ |
ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ক আই.ই.আই | ৩০ |
ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং | ৭০ |
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল | ৬০ |
নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং | ২৫ |
রোবটিক্স ও মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং | ২০ |
মোট আসন | ১৮১৫ |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট আসন সংখ্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী মোট আসন ছিল ২,৩৭৮ টি। তবে সার্কুলারে কোন বিষয়ে কয়টি করে আসন বরাদ্দ আছে সেটা উল্লেখ করা হয়নি। খ ইউনিটে মোট বিষয় রয়েছে ৪৪ টি। নিচের ছকে সাবজেক্টগুলোর তালিকা দেওয়া হল–
ক্রমিক | বিষয় |
---|---|
০১ | ইংরেজি |
০২ | বাংলা |
০৩ | দর্শন |
০৪ | আরবি |
০৫ | উর্দু |
০৬ | ইতিহাস |
০৭ | সংস্কৃত |
০৮ | ইসলামিক স্টাডিজ |
০৯ | পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ |
১০ | ফারসি ভাষা ও সাহিত্য |
১১ | বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি |
১২ | ভাষাবিজ্ঞান |
১৩ | নৃত্যকলা |
১৪ | সংগীত |
১৫ | থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ |
১৬ | তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা |
১৭ | ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি |
১৮ | গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা |
১৯ | সমাজ বিজ্ঞান |
২০ | পপুলেশন সায়েন্সেস |
২১ | নৃবিজ্ঞান |
২২ | অর্থনীতি |
২৩ | লোক প্রশাসন |
২৪ | রাষ্ট্রবিজ্ঞান |
২৫ | টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি |
২৬ | উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ |
২৭ | জাপানিজ স্টাডিজ |
২৮ | কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস |
২৯ | ক্রিমিনোলজি |
৩০ | শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন |
৩১ | প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ |
৩২ | উন্নয়ন অধ্যয়ন |
৩৩ | আইন |
৩৪ | ভূগোল ও পরিবেশ |
৩৫ | মনোবিজ্ঞান |
৩৬ | সমাজকল্যাণ |
৩৭ | স্বাস্থ্য অর্থনীতি |
৩৮ | শিক্ষা ও গবেষণা |
৩৯ | ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট |
৪০ | ইংরেজি ভাষা ও অন্যান্য |
৪১ | ফ্রেঞ্চ ভাষা ও সংস্কৃতি |
৪২ | জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি |
৪৩ | চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি |
৪৪ | আন্তর্জাতিক সম্পর্ক |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ ইউনিট আসন সংখ্যা
গ ইউনিটে শুধুমাত্র বানিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষা দিতে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন চার ইউনিটের মধ্যে গ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দেয় কম। কিন্তু গ ইউনিটে আসন সংখ্যাও অন্যান্য ইউনিটের চেয়ে কম। গ ইউনিটে আসন সংখ্যা ১২৫০ টি।
গ ইউনিট ব্যবসা শিক্ষা অনুষদে মোট সাবজেক্ট আছে মাত্র ৯ টি। কিন্তু ৮ টি সাবজেক্টেই আসন সংখ্যা ১০০ এর উপরে। শুধুমাত্র অর্গানাইজেশন স্ট্র্যেটেজি এন্ড লিডারশীপ বিষয়ে আসন সংখ্যা তুলনামূলক কম, মাত্র ৩৫ টি।
বিষয় | আসন |
---|---|
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস | ১৮০ |
ফিন্যান্স | ১৮০ |
ম্যানেজমেন্ট | ১৮০ |
মার্কেটিং | ১৮০ |
ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুইরেন্স | ১৫০ |
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস | ১১৫ |
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস | ১১৫ |
টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট | ১১৫ |
অর্গানাইজেশন স্ট্র্যেটেজি এন্ড লিডারশীপ | ৩৫ |
মোট | ১২৫০ |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ ইউনিট আসন সংখ্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট হচ্ছে ঘ ইউনিট। এই ইউনিটে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘ ইউনিটে সবচেয়ে বেশি ভর্তিচ্ছু আবেদন করে এবং এই ইউনিটে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটে আসন সংখ্যা মোট ১৫৭০ টি। কিন্তু এই আসন আবার তিন বিভাগের জন্যে ভাগ করে দেওয়া আছে। যেখানে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য সবচেয়ে বেশি আসন আছে, বাণিজ্য বিভাগের জন্যেও কিছু আসন আছে। কিন্তু মানবিক বিভাগের জন্য আসন খুবই কম, মাত্র ৫০ এর কিছু অধিক আসন বরাদ্দ আছে।
বিভাগ | আসন |
---|---|
বিজ্ঞান | ১১১৭ |
বাণিজ্য | ৪০০ |
মানবিক | ৫৩ |
মোট | ১৫৭০ |
ঘ ইউনিটে অনুষদ আছে ৫ টি এবং ইন্সটিটিউট আছে ৫ টি। আর মোট বিষয়ের সংখ্যা ৫৫ টি। অনুষদগুলো হচ্ছে–
আইন অনুষদ
কলা অনুষদ
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
জীববিজ্ঞান অনুষদ
আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ
বিজ্ঞান অনুষদ
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
ঘ ইউনিট ভুক্ত ইন্সটিটিউটগুলো হচ্ছে–
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
ঘ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের আসন সবচেয়ে বেশি। মোট আসন ১১১৭ টি। চলো দেখে নেই, কোন বিষয়ে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য কয়টি করে আসন বরাদ্দ আছে।
বিষয়ের নাম | আসন সংখ্যা |
---|---|
ইংরেজি | ২০ |
বাংলা | ২৫ |
আরবি | ৩০ |
সংস্কৃত | ২০ |
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য | ২০ |
পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ | ১৮ |
উর্দু | ৩০ |
ইতিহাস | ২৩ |
দর্শন | ২৫ |
ইসলামিক স্টাডিজ | ২৫ |
থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ | ৭ |
তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা | ১৫ |
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি | ২৫ |
নৃত্যকলা | ১০ |
ভাষাবিজ্ঞান | ২০ |
বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি | ৩৫ |
সংগীত | ২০ |
অর্থনীতি | ৭০ |
রাষ্ট্রবিজ্ঞান | ৮০ |
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক | ৪৫ |
সমাজ বিজ্ঞান | ৩৫ |
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন | ২০ |
উন্নয়ন অধ্যয়ন | ১০ |
টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি | ১৫ |
উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ | ২০ |
নৃবিজ্ঞান | ২০ |
লোক প্রশাসন | ৩৫ |
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা | ২৫ |
পপুলেশন সায়েন্সেস | ১৩ |
প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ | ১৫ |
ক্রিমিনোলজি | ৩০ |
কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস | ২০ |
জাপানিজ স্টাডিজ | ৩৫ |
আইন | ৪৩ |
সমাজকল্যাণ | ১২ |
স্বাস্থ্য অর্থনীতি | ৩০ |
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট | ২৫ |
শিক্ষা ও গবেষণা | ৪০ |
ইংরেজি ভাষা ও অন্যান্য | ১০ |
জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি | ১০ |
চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি | ১০ |
ফ্রেঞ্চ ভাষা ও সংস্কৃতি | ১০ |
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস | ১০ |
ফিন্যান্স | ১০ |
মার্কেটিং | ১০ |
ম্যানেজমেন্ট | ১০ |
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস | ৪ |
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস | ৪ |
অর্গানাইজেশন স্ট্র্যেটেজি এন্ড লিডারশীপ | ১৫ |
ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুইরেন্স | ৫ |
টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট | ৩ |
মোট | ১১১৭ |
আবার বাণিজ্য বিভাগের জন্য বিষয় আছে ৪২ টি। আর আসন বরাদ্দ আছে ৪০০ টি। নিচে দেখে নাও, কোন সাবজেক্টে কয়টি করে আসন আছে–
বিষয়ের নাম | আসন সংখ্যা |
---|---|
ইংরেজি | ৫ |
বাংলা | ৭ |
শিক্ষা ও গবেষণা | ২০ |
সংস্কৃত | ১০ |
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য | ১০ |
পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ | ১২ |
উর্দু | ২০ |
ইতিহাস | ৭ |
দর্শন | ৫ |
ইসলামিক স্টাডিজ | ১৫ |
থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ | ৩ |
তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা | ৫ |
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি | ১৫ |
নৃত্যকলা | ১০ |
ভাষাবিজ্ঞান | ১৫ |
বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি | ৫ |
সংগীত | ১০ |
অর্থনীতি | ৮ |
রাষ্ট্রবিজ্ঞান | ২০ |
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক | ৫ |
সমাজ বিজ্ঞান | ৫ |
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন | ১০ |
উন্নয়ন অধ্যয়ন | ৫ |
টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি | ৫ |
উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ | ৫ |
নৃবিজ্ঞান | ৫ |
লোক প্রশাসন | ২৫ |
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা | ৮ |
মনোবিজ্ঞান | ৩০ |
প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ | ৫ |
ক্রিমিনোলজি | ১০ |
ভূগোল ও পরিবেশ | ২০ |
জাপানিজ স্টাডিজ | ১০ |
আইন | ২২ |
সমাজকল্যাণ | ৩ |
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট | ৫ |
ফ্রেঞ্চ ভাষা ও সংস্কৃতি | ৫ |
চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি | ৫ |
ইংরেজি ভাষা ও অন্যান্য | ৫ |
জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি | ৫ |
মোট | ৪০০ |
এবার আসি মানবিক বিভাগ নিয়ে। মানবিক বিভাগের জন্য ঘ ইউনিটে মাত্র ৫৩ টি আসন আছে। আর তারা শুধুমাত্র ১২ টি বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে। দেখে নেই, মানবিকের জন্য ঘ ইউনিটে কয়টি করে আসন বরাদ্দ আছে–
বিষয়ের নাম | আসন সংখ্যা |
---|---|
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস | ৫ |
ফিন্যান্স | ৫ |
মার্কেটিং | ৫ |
ম্যানেজমেন্ট | ৫ |
অর্গানাইজেশন স্ট্র্যেটেজি এন্ড লিডারশীপ | ৫ |
টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট | ২ |
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস | ২ |
ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুইরেন্স | ২ |
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস | ১ |
গনিত | ৫ |
পরিসংখ্যান | ১৬ |
মোট | ৫৩ |
ঢাবি চ ইউনিট আসন সংখ্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ ইউনিটে আসন আছে মোট ১৩৫ টি। আর এই ইউনিটেই সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।
এই ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চারুকলা বিষয়ক সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। নিঃসন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ দেশের সেরা চারুকলা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের প্রখ্যাত সকল চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর এই অনুষদের সাথে যুক্ত ছিলেন। চারুকলা অনুষদের আছে নিজস্ব একটি ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস।
বিষয় | আসন |
---|---|
অংকন ও চিত্রায়ণ | ৩০ |
গ্রাফিক্স ডিজাইন | ২৫ |
শিল্পকলার ইতিহাস | ১৮ |
প্রাচ্যকলা | ১৫ |
কারুশিল্প | ১৫ |
প্রিন্টমেকিং | ১২ |
মৃৎশিল্প | ১০ |
ভাস্কর্য | ১০ |
মোট | ১৩৫ |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় খ ইউনিট ভর্তি প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম তথ্য দিলেও তা চান্স পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। কিংবা অধিকাংশই প্রশ্ন এনালিসিস ছাড়াই তা দিয়ে থাকে। আজকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট এর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুনি নিয়ে আলোচনা করব। কোন পরীক্ষার্থী যদি আমাদের দেয়া টিপসগুলো ভালো করে ফলো করে তাহলে তার চান্স পাওয়া এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্য বইটি প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত লেখক পরিচিতিসহ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
গ)উক্ত বইয়ের আবশ্যিক গল্প ও কবিতায় ব্যবহৃত গুরুত্বর্পূণ লাইনগুলো চিহিৃত করতে হবে এবং সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
ঘ)পঠিত বিষয়ে বিদেশী শব্দ এবং প্রবাদ প্রবচনগুলো উৎসসহ ভালভাবে জানতে হবে।
ঙ)বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কে ভাল জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
চ)উচ্চ মাধমিক পর্যায়ে পঠিত পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত সকল লেখকের জন্ম ও মৃত্যু তারিখ এবং তাদের প্রকাশিত গ্রন্থাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
ছ)বাংলা বিষয়ে বেশি প্রশ্ন থাকে ব্যাকরণ অংশ থেকে। ব্যাকরণ সহজে আয়ত্ত করার জন্য ডঃ মুনির চৌধুরী লিখিত নবম-দশম শ্রেণীর বোড কর্তৃক নির্ধারিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বইটি প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত প্রতি লাইন ভালোভাবে পড়তে হবে। তাহলে ব্যাকরণে কোন সমস্যা থাকবে না বলে আশা করা যায়।
প্রিয় ভর্তিচ্ছু ভাই-বোনেরা, শুভেচ্ছা নিও। ভর্তিযুদ্ধে টিকে থেকে নিজের পরিচয় তৈরীর জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। হাতে সময় খুবই কম। এই কম সময়ের মধ্যেও কিভাবে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া যায় সে বিষয়েই আজকে আলোচনা করবো।
বাংলা
বাংলায় ১৫টি প্রশ্নের জন্য ১৫ নম্বর এবং পাস মার্ক ন্যূনতম ৫। ‘খ’ ইউনিটে প্রশ্ন বরাবরই একটু বইয়ের ভেতর থেকে আসে কিছুটা অনুধাবনমুলক ধরনের। তাই ভালো করতে পাঠ্যবইয়ের বিকল্প নেই। এই মুহুর্তে, প্রত্যেকটা গদ্য, পদ্য ভালোভাবে রিভাইস দিতে হবে। যেহেতু সময় কম তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ২টি গদ্য-পদ্য রিডিং পড়ে শব্দার্থ-টিকা ও সংশ্লিষ্ট এমসিকিউ পড়ে ফেলতে হবে। কোন টপিক বিস্তারিত পড়ার সময় আগেই শেষ তাই যত দ্রুত সম্ভব এমসিকিউ সহ টপিকটা আয়ত্ত করার চেষ্টা করো। লেখক পরিচিতি, পাঠ পরিচিতি থেকে প্রশ্ন থাকবে তাই এগুলোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশের জন্য একটি নোট খাতা বানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাল ও চুম্বক তথ্যগুলো লিখে ফেললে ভালো হয় যাতে পরীক্ষার আগের দিন এক নজর দেখলেই মনে পড়ে। নাটক-উপন্যাস থেকে ২/৩টা প্রশ্ন হতে পারে। তাই এগুলোর ভূমিকা অংশ ও প্রত্যেকটি চরিত্র সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। ভিতরের ছোট ছোট তথ্যগুলোর জন্যও আলাদা নোট রাখা জরুরি। সে ক্ষেত্রে পৃষ্ঠাভিত্তিক নোট করা যেতে পারে আবার বইয়ের পাশে পেন্সিল দিয়ে তথ্যগুলো লিখে রাখতে পারো।এগুলো সবই তোমাদের সময় বাঁচাবে বলে আশা করি। ব্যাকরণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক থেকে প্রতি বছরই প্রশ্ন আসে। সমাস, বাগধারা, সন্ধি ও এককথায় প্রকাশ অন্যতম। এগুলোর উপরে ভালো দখল রাখতে হলে ৯ম-১০ম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ নামক বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বই থেকে ভর্তি পরীক্ষার টপিকগুলোর বেসিক ধারণা নেওয়ার সাথে সাথে উদাহরণগুলো ও পড়তে হবে আর মনে রাখতে হলে লিখে লিখে পড়বে যা লিখিত পরীক্ষায়ও কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ।
ইংরেজি
ইংরেজিতে ‘খ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক খারাপ করে। তার কারণ হতে পারে এই বিষয়ের প্রতি ভীতি। তবে, ইংরেজিতে ভয়ের কোন কারণ নেই। মাধ্যমিকে টপিকগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে থাকলেও ভর্তি পরীক্ষার সময় সেগুলোই বিস্তারিত আকারে থাকে। সাথে নতুন কিছু যুক্ত হলেও খুব কঠিন কিছু না। তবে প্রথমেই বলি, ২০১৯-২০ সেশনে, পাঠ্যবইয়ের কবিতা ও Passage থেকে প্রশ্ন হয়েছিলো। এ বছর ও ঢাবি পাঠ্যবইয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিবে বলেই জানা যায়। তাই কবিতার চুম্বক তথ্যগুলো নোট খাতায় বা বইয়ের পাশে লিখে রাখতে পারলে ভালো। কবিতার লাইনের ব্যাখ্যা বুঝে তথ্য পড়তে হবে। Passage এর অর্থ বুঝে শব্দার্থ ও Synonym-Antonym একসাথেই পড়ে ফেলা যায় যা লিখিত অংশেও ভালো করতে সাহায্য করবে। এবার গ্রামার অংশ বলতে গেলে Right form of Verb, Conditional sentence, Voice-Narration, Verb-Adverb, Tense, Article এর সাথে Subject-Verb agreement ও আসতে পারে। তাই এগুলো বেশি করে অনুশীলন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে Cliff’s TOEFL ও Barron’s TOEFL থেকে অনুশীলন করা যেতে পারে। অনেকের প্রশ্ন থাকে Vocabulary মনে থাকেনা। এটা খুবই স্বাভাবিক তবে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। এ ক্ষেত্রে বইয়ের Vocabulary গুলো আগে পড়তে হবে যেনো আসলে মিস না হয়। বাইরের গুলো আমাদের কারো পক্ষেই জানা সম্ভব না তবে, বিগত বছরের প্রশ্নের সবগুলো Vocabulary শিখে ফেললে আর Vocabulary এর সাগরে ডুবে যাবার ভয় থাকবে না আবার কমন পেয়েও যেতে পারো। Vocabulary মনে রাখার জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ও সকালে ঘুম থেকে উঠে কমপক্ষে, ১৫/২০ টা করে নতুন শব্দ অর্থ ও Synonym-Antonym সহ পড়বে কারণ, এই সময়ের পড়া মনে থাকে ভালো। প্রশ্ন খুবই বেসিক থেকে হয় তাই ভয় না পেয়ে অনুশীলন চালিয়ে গেলে প্রশ্ন দেখেই বুঝে যাবে এটা কোন টপিক থেকে এসেছে। আর ইংরেজিতেও ১৫টি প্রশ্নে ১৫ নম্বর আর পাস মার্ক ৫।
সাধারণ জ্ঞান
সাধারণ জ্ঞানে মোট নম্বর থাকবে ৩০ আর পাস মার্ক ১০। এখানে ২ টি অংশ থাকে বাংলাদেশ এবং সমগ্র বিশ্ব। খ ইউনিটে গতানুগতিক ধারার প্রশ্ন বা বেসিক থেকে আসলেও গত বছরে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে অধিক প্রশ্ন আসতে দেখা গিয়েছে। তাই এই বছরেও সাম্প্রতিক থেকে বেশি প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে হলে প্রত্যেক মাসের কারেন্ট এফেয়ার্স সংগ্রহ করতে হবে এবং প্রথম পৃষ্ঠা বিশেষ গুরুত্ব পাবে। সূচিপত্র থেকে ঘটনার এক লাইনে ধারণা নিতে হবে (যাকে বলে At a Glance)। ভিতরে এখন বিস্তারিত পড়ার সময় নেই কিন্তু তারিখ ও স্থানগুলো মনে রাখা জরুরি তাই এগুলো শর্ট নোট করে ফেলো। সাম্প্রতিক ঘটনার ক্ষেত্রে আরো ভালো দখল নিতে পারো প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘন্টা খবর দেখে বা পত্রিকা পড়ে। পরীক্ষার কিছুদিন আগের পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিখে রাখবে খাতায় ও আগের দিন দেখে যাবে। এবার আসি গতানুগতিক বা বেসিক ধারার প্রশ্নে। এই প্রশ্নগুলোর জন্য বিগত বছরের আসা প্রশ্নগুলো বার বার পড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে কমন পেতেও পারো। আর বাংলাদেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক হলো নদী, স্থাপনা, মানচিত্র, সংবিধানের কিছু ধারা, জাতীয় প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, চুক্তি, কালজয়ী কিছু বই ও লেখক।
আর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও কারেন্ট এফেয়ার্স পড়তে হবে আর গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো হলো বিশ্বযুদ্ধ, আন্তর্জাতিক সংগঠন (বিশেষ করে বাংলাদেশ যেগুলোর সদস্য), শান্তি চুক্তি, জাতিসংঘ ও সাথে মহাসচিবের নাম, দেশ-মুদ্রা-রাজধানী, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ জ্ঞানে মানবিক বিভাগে উচ্চমাধ্যমিকে যার যে বিষয় ছিলো অর্থাৎ, অর্থনীতি, পৌরনীতি, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, মনোবিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা, ইসলামের ইতিহাস, যুক্তিবিদ্যা, ভূগোল এগুলোর বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব, বিষয়ের জনক, বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদানকারীদের নাম প্রাধান্য পাবে। আইসিটির কিছু বেসিক ধারণাও রাখতে হবে। বাজারে অনেক মোটা মোটা বই পাওয়া যায় সাধারণ জ্ঞানের উপর।
এসব দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই যে কিভাবে শেষ করবো? সব তো পড়তে পারলাম না। মনে রাখবে এটি ভর্তি পরীক্ষা। সব পড়তে হবেনা আর সব আসবেও না। গুরুত্বপূর্ণ টপিক থেকেই প্রশ্ন হবে। আর একটা প্রশ্নব্যাংক কিনে নিজে নিজে অনুশীলন করতে পারো প্রস্তুতি যাচাইয়ের জন্য। এটি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এভাবে প্রস্তুতি নিতে পারো এই কয়দিনের জন্য।
এখন ঘড়ি ধরে নয় বরং পড়া না হওয়া পর্যন্ত পড়তে থাকো। অনুশীলন ধরে রাখার ক্ষেত্রে যা পড়ছো লিখে রাখার চেষ্টা করো। শরীরের যত্ন নাও আর অবশ্যই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করো। মেধাবী হলেই হবে না তোমাকে হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী তাহলেই সফলতা আসবে। সর্বোপরি, তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০০৭-২০০৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০০৮-২০০৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০০৯-২০১০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০১০-২০১১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০১১-২০১২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০১২-২০১৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০১৩-২০১৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০১৪-২০১৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০১৫-২০১৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০১৬-২০১৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট প্রশ্ন ও সমাধান ২০১৭-২০১৮
DU C Unit Question Bank 2019-20 | |
DU C Unit Question Bank 2018-19 | |
DU C Unit Question Bank 2017-18 | |
DU C Unit Question Bank 2016-17 |
DU D Unit Question Bank 2019-20 | |
DU D Unit Question Bank 2018-19 | |
DU D Unit Question Bank 2017-18 | |
DU D Unit Question Bank 2016-17 |
© 2022 EDUCATION LIVE BD - by Shohanur Shuvo.