মেডিকেল ভর্তি কমিটির সর্বশেষ মিটিং অনুযায়ী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০২২ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া পরীক্ষা পূর্বের নিয়মেই অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন ২০২২ ও পূর্বের মতই থাকবে। আজকে আমরা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন নিয়ে আলোচনা করব।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন ২০২২
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকা মোট ৩০০ নম্বরের মধ্যে করা হয়। ১০০ নম্বর এমসিকিউ এর উপর এবং বাকি ২০০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসি এর জিপিএর উপর।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার এমসিকিউ মানবন্টন
১০০ (একশত) নম্বরের ১০০ (একশত)টি এমসিকিউ প্রশ্নের ১ (এক) ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
- জীববিজ্ঞান = ৩০ নম্বর
- রসায়ন = ২৫ নম্বর
- পদার্থ = ২০ নম্বর
- ইংরেজি = ১৫ নম্বর
- বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ = ১০ নম্বর
জিপিএ- এর উপর নম্বর
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মােট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে নিম্নলিখিতভাবে মূল্যায়ন করা হবে :
ক) এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ১৫ গুণ=৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
খ) এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২৫ গুণ=১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্তনম্বরের যােগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার পাশ নম্বর
লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। শুধুমাত্র কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
নম্বর কর্তন
২০২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমােট | (Aggregated) নম্বর (এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ১৫ গুণ+এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২৫ গুণ+ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর) থেকে ০৫ (পাচ) নম্বর কর্তন করে এবং পূর্ববর্তী বৎসরের সরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট-এ ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মােট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ (সাত দশমিক পাঁচ) নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।